September 02
বাংলাদেশের চারুকলার ইতিহাস সমৃদ্ধ ও গৌরবময়। এদেশের অনেক চিত্রশিল্পী তাঁদের সৃজনশীলতা, রঙের ব্যবহার ও ভাবধারার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পরিচিতি লাভ করেছেন। নিচে বাংলাদেশের কিছু খ্যাতিমান চিত্রশিল্পীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলোঃ
জয়নুল আবেদিন (১৯১৪–১৯৭৬)
বাংলাদেশের চারুকলার জনক হিসেবে পরিচিত। তাঁর আঁকা "দুর্ভিক্ষ-১৯৪৩" চিত্রমালা বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে। তিনি ঢাকা চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
কামরুল হাসান (১৯২১–১৯৮৮)
তাঁকে "পটচিত্রের রাজা" বলা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর আঁকা পোস্টারগুলো ছিল প্রেরণার উৎস। বিশেষ করে “এই জানোয়ারগুলোকে হত্যা করতে হবে”পোস্টারটি বিখ্যাত।
এস. এম. সুলতান (১৯২৩–১৯৯৪)
অসাধারণ প্রতিভাবান এ শিল্পী গ্রামীণ মানুষ ও কৃষকের জীবনকে তাঁর ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খ্যাতি অর্জন করেন।
কিবরিয়া (১৯২৯–২০১১)
মোহাম্মদ কিবরিয়া ছিলেন আধুনিক ধাঁচের চিত্রশিল্পী। রঙ ও আকারের বিমূর্ত ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি নতুন ধারার জন্ম দেন।
শফিউদ্দিন আহমেদ (১৯২৬–২০১২)
তিনি প্রিন্টমেকিং এবং লাইন ড্রয়িং-এ বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধ, গ্রামীণ জীবন ও সাধারণ মানুষের সংগ্রাম তাঁর শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে।
কাদের নওয়াজ (১৯৩৩–১৯৮২)
বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। গ্রামীণ জীবনের সহজ সরল রূপকে ছবিতে তুলে ধরেছেন।
শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ (১৯৫০– )
আধুনিক বাংলাদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, গতি ও শক্তি তাঁর ছবিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন।
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীরা শুধু দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেই সমৃদ্ধ করেননি, বরং বিশ্ব দরবারে বাঙালি শিল্প ও নান্দনিকতাকে উজ্জ্বল করেছেন। তাঁদের কর্ম আমাদের গর্বের প্রতীক।
September 08
August 24
July 15