June 26
বাংলা নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র এক যুগান্তকারী নাম। তাঁর রচিত ‘নীলদর্পণ’ নাটক কেবল একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে এক সাহসী প্রতিবাদ। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সামাজিক-রাজনৈতিক নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়।
লেখক পরিচিতি: দীনবন্ধু মিত্র
জন্ম: ১৮৩০, নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে
পেশা: ডাকবিভাগের কর্মচারী (পোস্টাল সার্ভিসে ছিলেন)
সাহিত্যজগতে খ্যাতি: মূলত নাট্যকার হিসেবেই খ্যাত
তিনি তখনকার সময়ের ইংরেজ শাসন ও গ্রামীণ দুর্দশার কথা সাহসিকতার সঙ্গে নাটকে তুলে ধরেছিলেন।
‘নীলদর্পণ’ নাটক সংক্ষেপে-
‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮৫৯–৬০ সালের নীল বিদ্রোহ-এর পটভূমিতে রচিত।
মূল বিষয়বস্তু:
ইংরেজ নীলকররা কিভাবে কৃষকদের জোরপূর্বক নীল চাষ করাতে বাধ্য করত এবং তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত, তা এই নাটকে অত্যন্ত আবেগময়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুখ্য চরিত্রসমূহ:
গোলোকচাঁদ বসু – জমিদার, কৃষকদের সহানুভূতিশীল
সবিত্রী – গোলোকচাঁদের কন্যা
জ্যাকসন সাহেব – অত্যাচারী নীলকর
রঘু – একজন নির্যাতিত কৃষক
নাটকটির গুরুত্ব ও প্রভাব:
সামাজিক বার্তা: ঔপনিবেশিক শোষণের বাস্তবতা তুলে ধরা
রাজনৈতিক আবেদন: ইংরেজদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বর প্রথম সাহিত্যে প্রকাশ পায়
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: নাটকটি ইংরেজিতে অনূদিত হয় এবং ইউরোপেও পাঠ করা হয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন: “নীলদর্পণ আমাদের জাতীয় নাট্যসাহিত্যের প্রথম সত্যনিষ্ঠ প্রতিচ্ছবি।”