শেয়ার
করুন

ওয়েবসাইটি শেয়ার করুন

ঘিলুখেকো অ্যামিবা: সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

September 21

ঘিলুখেকো অ্যামিবা: সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

ঘিলুখেকো অ্যামিবা বা নিগ্লেরিয়া ফোলেরি একটি প্রাণঘাতী জীবাণু, যা নাক দিয়ে শরীরে ঢুকে সরাসরি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এর ফলে হয় প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস (PAM) নামক মারাত্মক রোগ।

কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়?
বদ্ধ জলাশয়, হ্রদ, পুকুর বা অপরিষ্কার সুইমিং পুলে গোসল করার মাধ্যমে।
নদীর পানিতে সাঁতার কাটার সময় নাক দিয়ে পানি ঢুকলে।
সাধারণত প্রবাহমান পানিতে এ ঝুঁকি কম থাকে।

প্রতিরোধের উপায়:
পুকুর বা বদ্ধ জলাশয়ে গোসল এড়িয়ে চলুন।
গোসলের সময় নাক-মুখ দিয়ে পানি প্রবেশ না করতে দিন।
সাঁতারের সময় নাকের ক্লিপ ব্যবহার করুন।
সুইমিং পুলের পানি পরিষ্কার ও ক্লোরিনযুক্ত কিনা নিশ্চিত করুন।
ঝুঁকিপূর্ণ পানিতে পুরোপুরি ডুব এড়িয়ে চলুন।

সংক্রমণের লক্ষণ:
প্রথমে ভাইরাল জ্বরের মতো উপসর্গ।
পরে মাথা যন্ত্রণা, বমি, খিঁচুনি।
মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়ে কোমায় যাওয়ার ঝুঁকি।

চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে-
অ্যাম্ফোটেরিসিন বি (অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, শিরায় দেওয়া হয়)
মিল্টেফোসিন (অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক, অ্যামিবার বিভাজন থামায়)
অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও ফ্লুকোনাজোল (সহায়ক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল)
প্রয়োজনে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।

সময়মতো রোগ শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার সুযোগ আছে, তবে দেরি হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়। তাই সতর্কতাই সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ।