September 08
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে এমন কিছু উপন্যাস আছে যেগুলো যুগের পর যুগ পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জেইন অস্টেন রচিত “Pride and Prejudice” (প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস)। ১৮১৩ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি আজও বিশ্বসাহিত্যের সেরা প্রেমকাহিনিগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত।
“Pride and Prejudice” মূলত এলিজাবেথ বেনেট নামের এক তরুণী এবং মিস্টার ফিৎসউইলিয়াম ডারসি নামের এক ভদ্রলোকের জীবন ও সম্পর্ককে ঘিরে আবর্তিত। উপন্যাসে দেখা যায়, এলিজাবেথ বুদ্ধিমতী, স্বাধীনচেতা এবং নিজের মতামতে দৃঢ়। অন্যদিকে, মিস্টার ডারসি অহংকারী ও প্রথাগত ভদ্রলোক।
প্রথমে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব থাকলেও পরবর্তীতে সত্যিকারের ভালোবাসা তাদের একত্রিত করে।
উপন্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
সমাজ ও শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিফলন: তৎকালীন ইংল্যান্ডের উচ্চবিত্ত সমাজের জীবনধারা ও অভ্যাস উপন্যাসে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
নারীর ভূমিকা ও স্বাধীনতা: এলিজাবেথ চরিত্রের মাধ্যমে নারী-স্বাধীনতার ধারণা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রেম ও সম্পর্কের বাস্তব চিত্র: কেবল রোমান্স নয়, সম্পর্কের জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝির দিকও এখানে এসেছে।
“Pride and Prejudice” কেবল একটি প্রেমের উপন্যাস নয়; এটি সমাজ, পরিবার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে রচিত এক বাস্তবধর্মী রচনা। এর ভাষা সহজ, কাহিনি প্রাণবন্ত এবং চরিত্রগুলো অত্যন্ত জীবন্ত। প্রকাশের পর থেকেই উপন্যাসটি পাঠকমহলে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এটি বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। উপন্যাস অবলম্বনে একাধিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সিরিজ নির্মিত হয়েছে। জেইন অস্টেনের “Pride and Prejudice” আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ এতে প্রেম, সম্পর্ক ও সমাজের যে বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে তা আজও পাঠককে গভীরভাবে স্পর্শ করে। এটি ইংরেজি সাহিত্যের এমন এক সম্পদ যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।