September 01
ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কবিতা। কবিতা শুধু ছন্দ বা শব্দের খেলাই নয়, বরং মানুষের অনুভূতি, স্বপ্ন, ভালোবাসা ও বেদনার গভীর প্রকাশ। প্রাচীন যুগে কবিতা প্রধানত ধর্মীয় বা বীরত্বগাথা বিষয়ক ছিল। জিওফ্রি চসার তাঁর ক্যান্টারবেরি টেলস এর মাধ্যমে নতুন ধারার সূচনা করেন, যা সাধারণ মানুষের জীবনচিত্রকে কবিতার ভাষায় ফুটিয়ে তোলে।
রেনেসাঁ যুগে এসে শেক্সপিয়ার তাঁর সনেটের মাধ্যমে প্রেম ও সৌন্দর্যের অনন্য প্রকাশ ঘটান। পরে রোমান্টিক কবিরা—ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কিটস, শেলি—প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর্জগতকে কবিতার মূল বিষয় করেন। ভিক্টোরিয়ান যুগে আলফ্রেড টেনিসন এবং রবার্ট ব্রাউনিং কবিতায় সমাজ, নৈতিকতা ও দর্শনকে স্থান দেন।
আধুনিক যুগে এসে কবিতা আরও স্বাধীন হয়, ছন্দমুক্ত রূপ পায়। টি. এস. এলিয়টের The Waste Land কবিতাটি আধুনিক কবিতার এক মাইলফলক, যা সমাজের ভাঙন ও মানবজীবনের অনিশ্চয়তাকে ফুটিয়ে তোলে। ডব্লিউ. বি. ইয়েটস তাঁর কবিতায় আয়ারল্যান্ডের সংস্কৃতি ও মিথকে জাগিয়ে তুলেছেন। ২০শ শতকের পরবর্তী সময়ে কবিতা আরও বহুমাত্রিক হয়, যেখানে নারীর অধিকার, যুদ্ধ, স্বাধীনতা, এমনকি প্রযুক্তির প্রভাবও কবিতার আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
ইংরেজি কবিতা পাঠককে শুধু সৌন্দর্যের স্বাদই দেয় না, বরং জীবনের গভীরতা ও মানসিক জগতকে উপলব্ধি করার পথও দেখায়। কবিতার মাধ্যমে মানুষ শিখে কল্পনা করতে, চিন্তা করতে এবং অনুভব করতে—যা শিক্ষা ও সংস্কৃতির অন্যতম ভিত্তি।
September 14