May 24
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত করা যায়। নিচে প্রতিটি যুগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
1. অ্যাংলো-স্যাকসন বা পুরাতন ইংরেজি যুগ (৪৫০ – ১০৬৬ খ্রিঃ)
এই যুগের সাহিত্য প্রধানত ধর্মীয় এবং বীরত্বগাথামূলক। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাব্য Beowulf, যা একটি মহাকাব্য।
2. মধ্য ইংরেজি যুগ (১০৬৬ – ১৫০০ খ্রিঃ)
এই সময়কার সাহিত্য ছিল ধর্মীয়, কিন্তু ধীরে ধীরে রূপকথা ও মানবিক আবেগ স্থান পেতে শুরু করে। জেফ্রি চসার এর The Canterbury Tales এই যুগের শ্রেষ্ঠ কাব্য।
3. পুনর্জাগরণ যুগ (১৫০০ – ১৬৬০ খ্রিঃ)
এই যুগে সাহিত্যিক চিন্তা ও শিল্প চর্চায় বিপ্লব ঘটে।
বিখ্যাত নাট্যকার: উইলিয়াম শেকসপিয়ার
কবি: এডমন্ড স্পেন্সার, মার্লো, জন মিলটন
4. নব্যক্লাসিক যুগ (১৬৬০ – ১৭৯৮ খ্রিঃ)
এই যুগে যুক্তিবাদ ও শৃঙ্খলার প্রাধান্য ছিল। বিখ্যাত লেখকরা হলেন:অ্যালেক্সান্ডার পোপ, জোনাথন সুইফট, স্যামুয়েল জনসন
5. রোমান্টিক যুগ (১৭৯৮ – ১৮৩৭ খ্রিঃ)
এই যুগে কল্পনা, প্রকৃতি, এবং আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান কবি: উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, এস.টি. কোলরিজ, জন কিটস, শেলি
6. ভিক্টোরিয়ান যুগ (১৮৩৭ – ১৯০১ খ্রিঃ)
রানী ভিক্টোরিয়ার শাসনকালে ইংরেজি সাহিত্যে বাস্তবতা ও নৈতিকতা প্রাধান্য পায়।
ঔপন্যাসিক: চার্লস ডিকেন্স, থমাস হার্ডি, জর্জ এলিয়ট
কবি: লর্ড টেনিসন, রবার্ট ব্রাউনিং
7. আধুনিক ও উত্তর-আধুনিক যুগ (১৯০১ – বর্তমান)
এই যুগে সাহিত্য হয়ে ওঠে আরো জটিল, পরীক্ষাধর্মী ও বহুস্তরবিশিষ্ট।
লেখক: জেমস জয়েস, টি.এস. এলিয়ট, ভার্জিনিয়া উলফ, জর্জ অরওয়েল, ডোরিস লেসিং, জে.কে. রাউলিং
ইংরেজি সাহিত্যের প্রধান শাখাসমূহ: কবিতা (Poetry), উপন্যাস (Novel), নাটক (Drama), গদ্য বা প্রবন্ধ (Prose/Essay), আত্মজীবনী ও জীবনচরিত (Biography & Autobiography)
ইংরেজি সাহিত্য একটি জীবনমুখী শিল্প, যা যুগে যুগে মানুষের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে। শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সাধারণ পাঠকের জন্য ইংরেজি সাহিত্য শুধু জ্ঞানার্জনের মাধ্যম নয়, বরং এক অমূল্য রত্নভাণ্ডার।