শেয়ার
করুন

ওয়েবসাইটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ শব্দের ইতিহাস এবং এর উৎপত্তি

December 21

বাংলাদেশ শব্দের ইতিহাস এবং এর উৎপত্তি

বাংলাদেশ শব্দটির ইতিহাস দীর্ঘ এবং তার ব্যবহারের উৎস বহু পুরনো। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার হতে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, যখন কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাদের দেশাত্মবোধক গানে "বাংলাদেশ" শব্দটি ব্যবহার করেন। অতীতে, "বাংলাদেশ" শব্দটি সাধারণত "বাংলা দেশ" আকারে লেখা হত। ১৯৫০-এর দশকের শুরুতে বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা এই শব্দটি রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল ও সভা-সমাবেশে ব্যবহার করতে শুরু করেন। শব্দটির প্রাচীনতম ব্যবহার পাওয়া যায় ৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে নেসারি ফলকে, যেখানে ভাংলাদেসা পরিভাষা উল্লেখ করা হয়। ১১শ শতকের দক্ষিণ এশীয় পাণ্ডুলিপিতেও এই পরিভাষার দেখা মেলে। ১৪শ শতাব্দীতে, বাংলা সালতানাতের সময়কালে, বাংলা শব্দটি দাপ্তরিক মর্যাদা লাভ করে, এবং ১৩৪২ সালে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রথম শাহ হিসেবে এই অঞ্চলের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে, ১৬শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা এই অঞ্চলটিকে বাঙ্গালা নামে উল্লেখ করতে শুরু করে। বাংলা বা বেঙ্গল শব্দের আদি উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই, তবে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে, এটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী গোষ্ঠী বং থেকে উদ্ভূত। বং জাতি ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। অন্যদিকে, কিছু ঐতিহাসিকের মতে, এই শব্দটি "ভাঙ্গা" বা "বঙ্গ" থেকে উদ্ভূত, যা প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে যেমন বেদ, মহাভারত এবং পুরাণে পাওয়া যায়।