শেয়ার
করুন

ওয়েবসাইটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে সস্তা পোশাকে এগিয়ে চীন, বৈচিত্র্যে পিছিয়ে বাংলাদেশ

May 20

যুক্তরাষ্ট্রে সস্তা পোশাকে এগিয়ে চীন, বৈচিত্র্যে পিছিয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাজার যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করে আছে চীন। চীনের সস্তা দাম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্যের জোরে তারা এই অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনামও কম নয়—চীনের চেয়ে দামি পণ্য রপ্তানি করলেও পণ্যের বৈচিত্র্যে এগিয়ে থাকায় তারা দ্বিতীয়। বাংলাদেশ শার্ট ও ট্রাউজারের মতো কিছু পণ্যে ভালো করলেও মোট বৈচিত্র্যের অভাবে তৃতীয় অবস্থানেই সীমাবদ্ধ।

চীন যুক্তরাষ্ট্রে ৬২৮ ধরনের পোশাক রপ্তানি করলেও বাংলাদেশ রপ্তানি করছে মাত্র ৪৬১ ধরনের। আবার, চীনের রপ্তানি করা পণ্যের বড় অংশ কৃত্রিম তন্তু (Man-Made Fiber) দিয়ে তৈরি, যেখানে বাংলাদেশ এখনো তুলা (Cotton)-নির্ভর। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমবর্ধমান, অথচ বাংলাদেশ এ খাতে অনেক পিছিয়ে।

বাংলাদেশের রপ্তানি মূলত বড় অর্ডারভিত্তিক এবং তুলা-নির্ভর পোশাকের দিকে ঝুঁকিপূর্ণ। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি সোয়েটার, গ্লাভস, মোজা কিংবা প্রযুক্তিনির্ভর নন-কটন পণ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুবই কম। উদাহরণস্বরূপ, চীন ১১৬ কোটি ডলারের মোজা রপ্তানি করে যেখানে বাংলাদেশ করে মাত্র ৫ লাখ ডলারের।

ভবিষ্যৎ বাজার বিশ্লেষণ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তৈরি পোশাকের বাজারে কৃত্রিম তন্তুর হিস্যা হবে ৬০%। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানির মাত্র ২৭% এই খাতে, যেখানে চীন ৬২%, ভিয়েতনাম ৫৬% কভার করে ফেলেছে।

করণীয় কী?
কৃত্রিম তন্তু ভিত্তিক পোশাকে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
সরকারি প্রণোদনাকাঠামোতে পরিবর্তন এনে নন-কটন পোশাকে আলাদা সুবিধা দিতে হবে।
বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনতে হবে, বিশেষত ছোট অর্ডারের সক্ষমতা বাড়াতে।
রপ্তানিকারকদের বাজার ও পণ্যের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক; এখন প্রয়োজন নতুন দিগন্তে প্রবেশের, যেখানে বৈচিত্র্যই হবে টিকে থাকার মূলমন্ত্র।