March 26
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিশেষ করে চিকিৎসা গবেষণার জন্য ইঁদুর ও গিনিপিগের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। কারণ, এদের জিনগত, জৈবিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য মানুষের সঙ্গে অনেকটাই মিলে। মানুষের ডিএনএ-এর ৯৮% ইঁদুরের সঙ্গে মেলে, যা বিভিন্ন রোগের গবেষণার জন্য কার্যকর।
নতুন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পর সরাসরি মানুষের ওপর প্রয়োগ না করে প্রথমে ইঁদুর বা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাগারে ট্রান্সজেনিক মাইস (জিন পরিবর্তিত ইঁদুর) ও নকআউট মাইস (নির্দিষ্ট জিন বাদ দেওয়া ইঁদুর) তৈরি করে বিভিন্ন রোগের মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা রোগের গবেষণায় ইঁদুর ব্যবহৃত হয়।
ইঁদুর দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, আকারে ছোট হওয়ায় গবেষণাগারে রাখা সহজ এবং শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় বিজ্ঞানীদের জন্য নিরাপদ। তবে প্রাণী গবেষণায় নৈতিকতা ও আইন মেনে চলতে হয়। বর্তমানে প্রাণী পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে কোষ ও টিস্যু কালচার, কম্পিউটার সিমুলেশন ইত্যাদির ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।