ভর্তি বা চাকরির জন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্রচুর অনুশীলন এবং মেধা যাচাই করার বিকল্প নাই। অনুশীলনের মাধ্যমে মেধা যাচাই করা মানে জানা বিষয়গুলোকে আরও ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করা। পরীক্ষার সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরণ আরও বেশি আয়ত্ত্ব করা। পরীক্ষার সময় এবং প্রশ্নের উত্তর করার কৌশল নির্ধারণে আরও দক্ষ হওয়া। এই সবগুলো বিষয়ে যে যতো ভালো করবে, ভর্তি বা চাকরির পরীক্ষা – উভয় ক্ষেত্রেই সে ততো এগিয়ে থাকবে।
একসময় পরীক্ষার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা ছিলো সময় এবং পরিশ্রম সাপেক্ষ বিষয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে পরীক্ষা প্রস্তুতির যাবতীয় রিসোর্স এবং চমৎকার সব এ্যসেসমেন্ট টুল পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। এর মাধ্যমে অবসান ঘটেছে পরীক্ষা-প্রস্তুতির দুরূহ যুগ। ডিজিটাল এই যুগে ঘরে বসে কম্পিউটার বা মুঠোফোনেই এসব করা সম্ভব। ভর্তি এবং চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতি ও মেধা যাচাইয়ের জন্য চমৎকার একটি প্ল্যাটফর্ম হলো প্র্যাকটিস ক্লাব। ওয়েব কিংবা এ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে যে কেউ এখানে যুক্ত হতে পারবে। খুব সামান্য টাকায় সাবস্ক্রাইব করা যাবে চমৎকার সব প্র্যাকটিস প্যাকেজ। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিস ক্লাবে পাবে সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত সালের সব প্রশ্ন। এ প্রশ্নগুলো সরাসরি উত্তরসহ সরবরাহ করার বদলে মডেল টেস্ট আকারে সাজানো হয়েছে। ফলে, বিগত সালের প্রশ্নগুলোর উপরও শিক্ষার্থী প্র্যাকটিস করতে পারবে। সাবমিট করার সাথে সাথেই কতটি সঠিক আর কতগুলো উত্তর ভুল হয়েছে, সেটা জানা যাবে। চাকরি প্রার্থীরাও যে কোন চাকরির বিগত সালের প্রশ্নগুলো নিয়ে একইভাবে প্র্যাকটিস করতে পারবে। এই প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
পরীক্ষার সময়ের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্যও প্র্যাকটিস ক্লাব দারুণ প্ল্যাটফর্ম। যেকোন পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ করতে শুরু করলেই সাথে সাথে অটো টাইম কাউন্টিং শুরু হয়। ফলে প্র্যাকটিস ক্লাবে যতবেশি প্র্যাকটিস করবে – পরীক্ষার সময় সম্পর্কে সচেতনতা ততো বেশি বাড়বে। প্র্যাকটিস ক্লাবের সদস্যদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ড্যাশবোর্ড তৈরি হয়। ব্যবহারকারী কতগুলো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, পুরনো প্রশ্ন এবং মডেল টেস্টের কোন সেটে কতগুলো সঠিক আর ভুল উত্তর দিয়েছে, কোন পরীক্ষায় কত সময় ব্যায় হয়েছে – সব হিস্টোরি পাওয়া যাবে। ফলে যেকোন পরীক্ষার ক্ষেত্রেই – পরীক্ষার্থীর দ্বারা একটা নিখুঁত ডিজিটাল প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।
বলা যায়, সময়, শক্তি আর টাকা ব্যায় করে সরকারি বা বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার দিন শেষ। সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এখন শুধু সচেতনভাবে প্র্যাকটিস করার সময়। প্র্যাকটিস ক্লাবের সাথে প্র্যাকটিস করো। আর ঘরে বসে প্রস্তুতি নাও সরকারি বা বেসরকারি – সব ধরণের চাকরির। সাফল্য তোমার আসবেই।